দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু : কলারোয়ার ধানদিয়া গ্রামে ঘটক পরিচয়ে প্রতারণা। লুট করেছে নগদ টাকাও স্বর্ণালংকার। দিনমজুর পরিবারটি সর্বশান্ত প্রায়।
জানাগেছে (গত ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার) সকাল ৮ টার দিকে প্রতারক চক্রের সদস্য ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারের পাশ্ববর্তি ধানদিয়া গ্রামের নুর হোসেনের বাড়িতে ঘটক পরিচয়ে নগদ ১৮ হাজার টাকা ও ১ ভরি ১০ আনা সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। আরও জানাগেছে অঞ্জাত পরিচয়ের ঐ বেক্তি ঘটক পরিচয় দিয়ে দুই থেকে তিন দিন ধরে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করছিলো নুর হোসেনের বাড়িতে তার মেয়েকে দেখবে তার ছেলের জন্য।
তার এক পর্যায়ে নুর ইসলাম বাজারে মিষ্টি মিঠায় আনতে যাবেন বলে তার স্ত্রীর কাছে টাকা চান, তার স্ত্রী টাকা বের করেন বাক্সের ভেতর থেকে, সেখানে রয়েছে আরও ১৮ হাজার টাকা মেয়ের গহনা। টাকা বের করে নুর হোসেনের স্ত্রী ভুলে বাক্সে তালা দেননি। প্রতারক চক্রের সদস্য বিষয়টি দেখে ফেলে এবং পরিবারের সদস্যদের নানা ব্যাস্ততার এক পর্যায়ে বাক্সের ভেতরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে বাজারে যাচ্ছি বলে প্রতারক চক্রের সদস্য তার সাথে থাকা CBZ মটরবাইকটি নিয়ে চম্পট দেয়। তার বাজার থেকে আসতে দেরি দেখে তাকে খোঁজা খুজি করেও তার সন্ধান মেলেনি কোথাও। তবে প্রতারক চক্রের সদস্যের ব্যাবহৃত মোবাইল নং টি নুর হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া গেছে, (০১৭০১৮৬৬৭৪০)প্রতারকের মোবাইল নং।
নুর হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার একটি বিবাহ যোগ্য মেয়ে আছে তার বিবাহ দেবেন এমন কথা বার্তা চলছে, সেই সুযোগটি প্রতারক চক্রের সদস্য কাজে লাগিয়েছে। তবে লুট হওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকারের বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকার মত। ঘটনাটির বিষয়ে নুর হোসেন তাৎক্ষনিক কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে যার নং ১১০২। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।